‘মুজিববর্ষের উপহার’ করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা

‘মুজিববর্ষের উপহার’ করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা

উত্তরদক্ষিণ । বৃহস্পতিবার ১১ জুন ২০২০ । ১৭:১০

করোনা মহামারিকালে দেওয়া নতুন অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব রেখেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের এই প্রস্তাব পাস হলে বছরে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হবে না। বর্তমানে করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণির ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছিল। এই সীমা বাড়ানোর জন্য কয়েক বছর ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মহল। তাদের যুক্তি ছিল, গত চার বছর ধরে করমুক্ত আয়ের সীমা একই অবস্থায় রয়েছে। জীবনযাত্রার ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় তাতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।

এবার করোনাভাইরাস মহামারিতে অর্থনীতির চাকা থমকে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সেই আহ্বানে সাড়া দিলেন অর্থমন্ত্রী। মূল্যস্ফীতির বিষয়টি মেনে নিয়েই বাজেট বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সম্মানিত করদাতারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ও ‘মুজিববর্ষের উপহার’ হিসেবে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা কিছুটা বৃদ্ধি এবং করহার হ্রাসের প্রস্তাব করছি।

নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের করমুক্ত আয়সীমাও ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি একই সঙ্গে সর্বনিম্ন করহার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ করহারও ৩০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেছেন।

প্রস্তাবিত নতুন হার অনুযায়ী, ৩ লাখ টাকা আয়কর দিতে হবে না। পরবর্তী ১ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ে কর দিতে হবে ৫ শতাংশ হারে, তার পরবর্তী ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ে কর দিতে হবে ১০ শতাংশ হারে, তার পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হবে ১৫ শতাংশ হারে, তার পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হবে ২০ শতাংশ হারে।

তার চেয়ে বেশি আয়ের জন্য ২৫ শতাংশ হারে কর প্রযোজ্য হবে। কর হার হ্রাস করায় করদাতাদের ভার লাঘব হবে বলে তারা কর দিতে উৎসাহিত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।