ঠিক মতো শ্যাম্পু না করলে চুলের ক্ষতি হতে পারে
উত্তরদক্ষিণ| মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট ২০২১| আপডেট ১৫:৩৩
সুন্দর চুলের জন্য চাই ধারাবাহিক যত্ন। আর নিয়মিত চুলের পরিচর্যায় দরকার সঠিক পন্থা। স্বাভাবিকভাবেই চুল ভালো রাখতে তেল ও শ্যাম্পু করা প্রয়োজন। তবে শ্যাম্পু ঠিক মতো না করলে উল্টো ক্ষতি হতে পারে।
রূপ বিশেষজ্ঞ ও রেড বিউটি স্যালনের কর্ণধার আফরোজা পারভীন বলেন, ‘শ্যাম্পু করার পরে যতক্ষণ পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে ধোয় না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত চুল পানি দিয়ে ধুতে হবে। আর কন্ডিশনারের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।’
এরপর তোয়ালে দিয়ে বা ড্রায়ারের সাহায্যে চুল শুকিয়ে নিতে হবে। আর্দ্রতা ধরে রাখতে চুল হালকা ভেজা অবস্থায় ‘লিভ ইন কন্ডিশনার’ ব্যবহার করা যেতে পারে। বাইরের যাওয়ার আগে চুল ঢেকে নেওয়া প্রয়োজন। এতে রোদ, বাতাস বা ধুলাবালি চুলের ক্ষতি করতে পারে না। আর্দ্রতাও নষ্ট করে দিতে পারে।
প্রাকৃতিক বাতাসের মাধ্যমেও ক্ষতিগ্রস্থ হয় চুল। কারণ এতে করে চুল বাড়তি আর্দ্রতা ও ধুলাবালির সংস্পর্শে আসে। তাই বাইরে থাকার সময় চুল ঢেকে রাখা উচিত।
বাইরে থেকে ফিরে প্রথমেই চুল ভালো করে আঁচড়ে নিতে হবে। ঘাম ও ময়লার কারণে চুলে আঠালোভাব দেখা দিলে শ্যাম্পু করা ভালো উপায়। আর কেউ যদি তখনই শ্যাম্পু করতে না চান তাহলে ভালো মতো বেঁধে রাখতে হবে যেন চুলের ময়লা মুখের ত্বকের ক্ষতি না করে।
রাতে ঘুমানোর আগে চুল উল্টে পিছন দিক থেকে সামনের দিকে আঁচড়াতে হবে। এর ফলে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়বে ও চুল ভালো থাকবে।
রাতে ঘুমানোর সময় চুল উঁচু করে বেঁধে রাখা ভালো। এতে চুল ফাটার পরিমাণ কমবে। তবে খুব বেশি শক্ত করে না বেঁধে হালকা ও উঁচু করে বাঁধার পরামর্শ দেন আফরোজা পারভীন।
এছাড়াও চুল ফাটা এড়াতে সিল্কের বালিশের কভার ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি।
চুলের সুস্থতায় সপ্তাহে দুবার মাথার ত্বকে গরম তেল মালিশ করা উপকারী। তাছাড়া চুলে উজ্জ্বলভাব আনতে সপ্তাহে একবার চুলের প্যাক ব্যবহার করা কার্যকর।
চুল যদি ‘ক্যামিকেল ট্রিটেড’ অর্থাৎ রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে ‘রং’, ‘স্ট্রেইট’ ইত্যাদি করা হয়ে থাকে তাহলে প্রাকৃতিক উপাদানের তৈরি প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকার পাশাপাশি উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে বলে জানান এই রূপ বিশেষজ্ঞ।