দেশে করোনায় মৃত্যু বেড়ে ৬, নতুন আক্রান্ত ৩ জন
উত্তরদক্ষিণ অনলাইন: ০১ এপ্রিল ২০২০ । ১৩:৩০
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে কভিড-১৯ রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জনে পৌঁছেছে। সেই সঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা তিনজন বেড়ে মোট আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে। সরকারের পক্ষ থেকে বুধবার (১ এপ্রিল) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানিয়েছেন।
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সবশেষ মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছিলো এক সপ্তাহ আগে। এক সপ্তাহ পর মৃত্যুর সংখ্যা ৫ থেকে ৬ জনে দাঁড়ালো। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন তিনজন। বাংলাদেশে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে। এর আগের দিন জানানো হয়েছিল, দেশে করোনায় আক্রান্ত ৫১ জনের মধ্যে ২৫ জন জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন আক্রান্তদের মধ্যে ১৯ জন। নতুন করে একজনের মৃত্যু ও তিনজন আক্রান্ত হওয়ায় বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ২৭ জন। এদিন বাসায় ফেরার কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
জাহিদ মালেক বলেছেন, আমরা দেখেছি গ্রামে, বাজারে অনেকে ঘোরাফেরা করছেন, চায়ের দোকানে বসছেন। এটা ঠিক হচ্ছে না। আপনাদের অনুরোধ, আপনারা ঘরে থাকবেন, বাইরে বের হবেন না।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে। এরপর ১৮ মার্চ প্রথম ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জানায় আইইডিসিআর। গত বুধবার প্রথম সংস্থাটি জানায় যে, ঢাকায় সীমিত আকারে কম্যুনিটি সংক্রমণ হচ্ছে বলে তারা সন্দেহ করছে।
মৃদু কমিউনিটি সংক্রমণ: ন্যাশনাল পোলিও এন্ড মিজেলস ল্যাবরেটরির ভাইরোলজিস্ট ডা. খন্দকার মাহবুবা জামিল বলেন, মৃদু লেভেলে হলেও কমিউনিটি সংক্রমণ হচ্ছে। আইইডিসিআরের পরিচালক এর আগেই এই তথ্য জানিয়েছেন। খন্দকার মাহবুবা জামিল বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তাতে আমরা ততটা পজিটিভ পাচ্ছি না। কমিউনিটি ট্রান্সমিশন যদি বেশি হতো, তাহলে এর সবগুলোতেই আমরা পজিটিভ দেখতে পেতাম। ফলে আমরা বলতে পারি, কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হচ্ছে। কিন্তু সেটা মৃদু পর্যায়ে হচ্ছে।
হটলাইনে নারীদের হয়রানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের হটলাইনের কল সেন্টারে কাজ করা দু’জন নারী কর্মী ফেসবুক পোস্টে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতার বর্ণনা তুলে ধরেন। এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখার পরিচালক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কল সেন্টারে কেউ যদি অশালীন কথাবার্তা বলে থাকেন, সে বিষয়ে আমরা চিন্তা করছি যে, সেটা শালীনতা বিবর্জিত হলে তাদের ট্র্যাক করে (খুঁজে বের করে) ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’