ব্যাংকের শাখায় পাওয়া যাবে ডলার

ব্যাংকের শাখায় পাওয়া যাবে ডলার

উত্তরদক্ষিণ । শুক্রবার, ১২ আগস্ট ২০২২ । আপডেট ১৭:০০

মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে দেশের সব ব্যাংকের শাখায় শাখায় ডলার লেনদেনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র বলছে, খোলাবাজারে অস্বাভাবিক দামের কারণে ডলারের প্রতি অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে অনেক গ্রাহকের। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভিযানের পরও খোলাবাজারের অস্থিরতা কমেনি। এ কারণে বিদেশগামীদের ডলার জোগাড় করতে বেগ পেতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কমকর্তা জানান, মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে সারা দেশে ব্যাংকের শাখায় বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোববার এ বিষয়ে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত আসবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে এক হাজার ২০০ অনুমোদিত ডিলার বা এডি শাখা ও ২৩৫টি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ব্যবস্থা রয়েছে। এখন ব্যাংকগুলোর সরবরাহকৃত শাখার মাধ্যমে সারাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের অনুমোদন দেওয়া হবে।

এজন্য ব্যাংকগুলো তাদের কোন কোন শাখার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করবে তার তালিকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে পাঠাবে। এসব শাখার একটি উপ-বিভাগ থেকে শুধু বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন হবে।

এদিকে, বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখার অংশ হিসেবে ডলার বিক্রি চালু রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) ৯৫ টাকায় আন্তঃব্যাংকে ১২ কোটি ২০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আমদানি বিল পরিশোধে ব্যাংকগুলোর কাছে রিজার্ভ থেকে এ ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার খোলাবাজারে ডলার বিক্রি হয়েছে ১১৬ টাকায়। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদারকির কারণে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কম হয়েছে বলে জানায় মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর কয়েকজন কর্মকর্তা।

মানি এক্সচেঞ্জগুলোর দাবি, বাজারে যে হারে ডলারের চাহিদা বাড়ছে, সে হারে সরবরাহ না থাকায় ডলারের দাম বাড়ছে।

মানি এক্সচেঞ্জ কর্মকর্তাদের মতে, আগে বিদেশফেরত প্রবাসী কর্মী, পর্যটক, ছাত্র এমনকি চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরে আসা রোগীর আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে সংগ্রহ করা বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলারের সঙ্গে বাজার চাহিদার সমন্বয় ছিল।

কিন্তু এখন ক্যাশ ডলার কম পাওয়া যাচ্ছে বলে চাহিদা অনেক বেশি। এতেই খোলাবাজারে ডলারের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো ডলার কারসাজি জন্য দায়ী নয় বলেও দাবি করেন তারা।

Md Enamul

Leave a Reply

Discover more from Daily Uttor Dokkhin

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading