১৯৭০ সালের পর এবারের নির্বাচন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ : শামীম ওসমান

১৯৭০ সালের পর এবারের নির্বাচন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ : শামীম ওসমান

উত্তরদক্ষিণ । বৃহস্পতিবার, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৪, আপডেট ১৭:৪০

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, অনেকে ভাবছেন, এ নির্বাচন কতটা গুরুত্বপূর্ণ? ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবারের নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের একেএম শামসুজ্জোহা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের মানচিত্রের ওপর খুনি শকুন উড়ছে। মাঠে তাদের পথ করে দিচ্ছে ১৯৭৫ সালের পরাজিত শক্তি ও সন্ত্রাসী দল বিএনপি। শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু চলে না গেলে আমাদের রাজনীতি করার কথা ছিল না। আমরা জাপানের মতো উন্নত দেশ থাকতাম। আমাদের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছেন শেখ হাসিনা। কয়েকদিন আগে মায়ের বুকে শুয়ে থাকা এক শিশুকে খুনি জিয়ার খুনি সন্তানরা আগুন দিয়েছে। এটা কোন বাংলাদেশ?

তিনি আরও বলেন, নেত্রীকে বলতে চাই, আপনি তাদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর ব্যবস্থা নিন। আমাদের মহিলাদের মিছিল থেকে কাপড় খুলে নেওয়া হয়, আমাদের পুলিশ লাইনের হাসপাতালে আগুন দেওয়া হয়। আমরা এ দৃশ্য ভবিষ্যতে আর দেখতে চাই না। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বেঁচে যাওয়ার অপরাধে শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের ওপর বোমা হামলা করা হয়েছে। সেই বোমা হামলায় আমার বন্ধু চন্দন শীলের দুই পা নেই। সেই বোমা হামলার পর রক্তের ওপর শুয়ে ছিলাম। রক্ত কত গরম হতে পারে সেদিন টের পেয়েছিলাম। শেখ হাসিনা আপনাদের মাঝে তার মা-বাবা-ভাইদের খুঁজে পায়। আপনারা কি এই মহিলার জন্য দাঁড়াবেন না? আল্লাহর নামে শপথ করে বলেন, আমরা কী প্রস্তুত আছি? উপস্থিত জনতা এ সময় দুই হাত তুলে নিজেদের প্রস্তুতির সাড়া দেন।

শামীম ওসমান আরও বলেন, নেত্রীর কাছে চাওয়ার কিছু নেই। আপনি সব দিয়েছেন। আমার নারায়ণগঞ্জের মানুষ মেট্রোরেলে উঠতে চায়। সন্তান কখনও মায়ের কাছে চায় না। মা সন্তানের আবদার এমনিতেই পূরণ করে দেয়। উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়েছেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় ১৫ বছর পর নারায়ণগঞ্জে পা রেখে লাখো নেতাকর্মীর জনসমুদ্র পেরিয়ে সভা মঞ্চে পৌঁছান শেখ হাসিনা। মঞ্চে আছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

ইউডি/এজেএস