১৪ জেলায় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত

১৪ জেলায় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত

উত্তরদক্ষিণ অনলাইন । ২০ জানুয়ারি ২০২০ । আপডেট ১৮:১৪

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ১৪ জেলার ঘোষিত ফলাফল ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে দিয়েছে হাইকোর্ট। এই আদেশের ফলে পটুয়াখালী, মাদারীপুর, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, নোয়াখালী, যশোর, সাতক্ষীরা, টাঙ্গাইল, বরগুনা ও ঠাকুরগাঁও জেলার নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে গেল। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কোটা সংক্রান্ত বিধি ‘অনুসরণ না করে’ ফলাফল প্রকাশ করার অভিযোগে ৪৬ জন চাকরিপ্রত্যাশীর এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (২০ জানুয়ারি) এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। পরে গণমাধ্যমকে অ্যাডভোকেট আসাদ বলেন,  ২০১৩ সালের সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালার সপ্তম ধারায় বলা হয়েছে, এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদের ৬০ শতাংশ নারী প্রার্থী, ২০ শতাংশ পোষ্য প্রার্থী এবং বাকি ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থী দিয়ে পূরণ করা হবে। গত ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফলে এই বিধি অনুসরণ করা হয়নি। তাই প্রতিকার চেয়ে ও ফলাফলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি করা হয়েছে। আদালত প্রাথমিক শুনানি করে ১৪ জেলার ফলাফল স্থগিত করে রুল জারি করেছেন।

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি নীলফামারী, বরগুনা, নওগাঁ ও ভোলা জেলার ফলাফল স্থগিত করে দেয় হাইকোর্ট। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থীকে বাছাই করে ফলাফল প্রকাশ করে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১৮ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ঘোষিত চূড়ান্ত ফলাফল কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ এর আগে রুল জারি করেছে। নিয়োগপ্রার্থীদের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৪ জানুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রুল জারি করেছিল। ফলে সারাদেশে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াটি স্থগিত হয়ে গেল।

Md Enamul

Leave a Reply

Discover more from Daily Uttor Dokkhin

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading