নভেম্বরে শেষ হচ্ছে ‘অন্তর্জাল’
উত্তরদক্ষিণ । মঙ্গলবার , ২৫ অক্টোবর ২০২২। আপডেট ১৩:২৫
হ্যাকাথন নিয়ে দীপংকর দীপন গেল বছর শুরু করেছিলেন ‘অন্তর্জাল’। ছবিটির ইতোমধ্যে আশি শতাংশ শুটিং শেষ হয়েছে। বাকি শুটিংয়ের জন্য থাইল্যান্ড যাবেন পরিচালক। আগামী ২০ নভেম্বর থেকে টানা ৭ দিন থাইল্যান্ডের ফুকেট শহরে ছবিটির শুটিং হবে। এতে অংশ নিবেন ছবির মূল চরিত্রে অভিনয় করা মীম ব্যতীত সকল শিল্পী— সিয়াম আহমেদ, এবিএম সুমন, সুনেরাহ বিনতে কামাল।
থাইল্যান্ড থেকে ফিরে দেশে দুই দিনের শুটিং করলে শেষ হবে ‘অন্তর্জাল’-এর কাজ। গেল বছরের ১১ আগস্ট থেকে ছবিটির শুটিং শুরু হয়েছিল। তারপরও এতদিন লাগার কারণ? ‘নানাবিধ কারণে আমাদের এ বিশ শতাংশ শুটিং বাকি ছিল। এখন শেষ করছি এটিই বড় কথা। শুটিং বন্ধ থাকলেও পোস্টের কাজ কিন্তু চলছিলো।’ শুটিং শেষ করে আগামী বছরের মার্চে ছবিটি মুক্তির ইচ্ছে রয়েছে পরিচালকের।
‘হ্যাকাথন’ বলতে অনেকে মনে করেন কোন কম্পিউটার সিস্টেম হ্যাক করা। কিন্তু বিষয়টি আদৌ তা নয়। মূলত চলতি জীবনের বিভিন্ন মৌলিক সমস্যার সফটওয়্যার ভিত্তিক সমাধানে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন ইভেন্টের। যে ইভেন্টে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রতিযোগীরা টানা কয়েকদিন ধরে সমস্যাগুলোর সমাধান করার চেষ্টা করে। দিনশেষে তারা এমন সমাধান বের করে যা সবাইকে চমকে দিতে বাধ্য। তাদের অল্প কয়েকদিনের সে সমাধানকে নিয়ে আরও বিস্তারিত কাজ করার জন্য আয়োজকদের তরফ থেকে পরবর্তীতে আর্থিক সহায়তা থেকে শুরু করে সকল ধরণের সহায়তা করা হয়।
পুরো বিষয়টি যতটা সংক্ষেপে বলা হয়েছে, বাস্তবে এর বিস্তৃতি অনেক। এ বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের আইসিটি মন্ত্রণালয়ে প্রতি বছর নানা ধরণের প্রতিযোগীতা আয়োজন করে থাকে। তারা বাংলাদেশের পরবর্তী প্রজন্মকে নানাভাবে তৈরি করছে আগামী বিশ্বের জন্য।‘হ্যাকাথন’ ব্যাপারটি এভাবেই ব্যাখা করছিলেন দীপংকর দীপন। তিনি জানান ‘অন্তর্জাল’ ছবিটি নির্মাণের প্রস্তাব তাকে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসের দিকে দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনিই প্রথম তাকে হ্যাকাথন ব্যাপারটি সম্পর্কে জানান।
দীপন বলেন, ‘এরপর আমি ও আমার টিম এ বিষয় নিয়ে যশোর, রাজশাহী ও গাজীপুরের শেখ আইসিটি টাওয়ারের বিশাল লাইব্রেরীতে পড়াশোনা ও গবেষণা করতে শুরু করলাম। জানতে গিয়ে দেখলাম সরকার নীরবে এ সেক্টরে রীতিমত বিপ্লব ঘটিয়েছে। এ দেশের যে কোন প্রান্তিক এলাকার একটা ছেলে আইটি সেক্টরে রাজধানী ঢাকার একটা ছেলের চেয়ে কম জ্ঞান রাখে না। তারা বিশ্বের যে কোন দেশের তরুণদের সঙ্গে প্রতিযোগীতা করার ক্ষমতা রাখে।’