বিশ্বের বাসযোগ্য শহরের তালিকায় তলানিতে কেন ঢাকা!

বিশ্বের বাসযোগ্য শহরের তালিকায় তলানিতে কেন ঢাকা!

উত্তরদক্ষিণ । শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩ । আপডেট ১৪:০০

বিশ্বের বাসযোগ্য শহরের তালিকায় বরাবরের মতো তলানিতেই অবস্থান রাজধানী ঢাকার। শীর্ষ ঘনবসতিপূর্ণ এই শহরের বাসিন্দারা শত সমস্যা মোকবিলা করে দিন পার করে যাচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে সঠিক পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নই পারে ঢাকাকে ‘বাসযোগ্য’ করে তুলতে। এ নিয়ে আসাদ এফ রহমান’র প্রতিবেদন

১৭৩ শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান ১৬৬তম

বৈশ্বিক মহামারির করোনার ধাক্কা সামলে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় বিভিন্ন শহরের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মানের উন্নতি হওয়ায় ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) করা ‘বাসযোগ্যতার সূচক’ এবার ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছালেও ঢাকার অবস্থানের উন্নতি নেই। এই সূচকে ১৭৩ শহরের তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানীর অবস্থান এবার ১৬৬তম।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) প্রকাশিত দ্য গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স ২০২৩ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গতবছর ১৭২ দেশের মধ্যে ঢাকা একই অবস্থানে ছিল। তালিকার নিচের দিক থেকে হিসাব করলে চারশ বছরের পুরনো এ শহরের অবস্থান দাঁড়ায় ৭ নম্বরে। অর্থাৎ বাসযোগ্যতায় তলানিতে থাকা শহরের তালিকায় ঢাকা ‘সপ্তম’। কোন শহর কতটা বাসযোগ্য তা বোঝার জন্য স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো- এই পাঁচ মানদণ্ডের বিচার করে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। ১০০ ভিত্তিক সূচকে ঢাকার স্কোর এবার ৪৩ দশমিক ৮।

গত বছর স্কোর ছিল ৩৯ দশমিক ২। এবারের স্কোরে ঢাকার সামান্য উন্নতি হলেও অন্যদের উন্নতি হয়েছে আরও বেশি। ফলে সূচকে অবস্থানগত কোনো পরিবর্তন হয়নি ঢাকার। ৯৮ দশমিক ৪ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরের তকমা ধরে রেখেছে অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। ৯৮ স্কোর নিয়ে এবারের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার দুই শহর মেলবোর্ন ও সিডনি। তার পরের অবস্থানটি কানাডার শহর ভ্যাংকুভারের। শীর্ষ দশের মধ্যে চারটি অবস্থান এবার ইউরোপের দখলে। কানাডার তিনটি শহর আছে এই তলিকায়। এশিয়ার মধ্যে কেবল জাপানের রাজধানী টোকিও শীর্ষ দশে জায়গা করে নিতে পেরেছে। গতবারের মত এবারও তালিকার সবচেয়ে নিচে রয়েছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক, সব মিলিয়ে স্কোর এবার ৩০.৭। অর্থাৎ, বাসযোগ্যতার বিচারে সবচেয়ে খারাপ দশায় আছে এ শহর।

অপরিকল্পিত নগরায়ন: রাজধানী ঢাকা আর নাগরিক সমস্যা

‘রাজধানী ঢাকা’ আর ‘নাগরিক সমস্যা’ সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছে বহু আগেই। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে যেসব সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তার সব ঢাকাতে ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কোনো কোনো সমস্যা এতটাই প্রকট যে, সেগুলোর সমাধান আদৌ সম্ভব কি না তা গভীর ভাবনার বিষয়। দেশের রাজধানী শহরে বসবাসকারী নাগরিকদের যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার কথা, তার ধারে-কাছেও নেই ঢাকাবাসী।

দিনকে দিন বিদ্যমান বাসিন্দাদের সাথে যুক্ত হচ্ছে আরো কিছু মানুষ, যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন সমস্যা আর প্রকট হয়ে উঠছে পুরনো সমস্যা। ঢাকা মহানগরে যানবাহনের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন নির্মাণকাজের কারণে বায়ুদূষণ আশঙ্কাজনক। মশাবাহিত রোগ; যেমন- চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু প্রভৃতির ঝুঁকি রয়েছে ব্যাপক। ময়লা-আবর্জনার কারণে দূষিত পরিবেশ; পেটের পীড়া, জন্ডিস ও টাইফয়েড আক্রান্ত হয় বহু মানুষ। ঢাকার একটি বার্ষিক ব্যাধি ডায়রিয়া। বছরে অন্তত দু’বার, বর্ষার শুরুতে ও শেষে এটা দেখা দেয়। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে ঢাকার মলমূত্রের মাত্র ২ শতাংশের নিরাপদ নিষ্কাশন হচ্ছে। বাকিটা মিশে যায় প্রকৃতিতে, পানির উৎসে।

বিবিএস ও ইউনিসেফের তথ্য মতে, ঢাকায় সরবরাহ করা পানির দুই-তৃতীয়াংশেই মলবাহিত জীবাণু থাকে। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ঝুঁকি। স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভালো নয় বলে একটু বৃষ্টি হলেই স্যুয়ারেজ, ড্রেন আর পাইপের পানি একাকার হয়ে যায়। জলাবদ্ধতা অত্যন্ত প্রকট সমস্যা। ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় ঢাকার রাস্তাঘাট। অবর্ণনীয় ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও অফিসগামী যাত্রীরা। বেশির ভাগ রাস্তা ও গলি অপ্রশস্ত, ইট-খোয়া-বিটুমিন ওঠা, ময়লায় ভর্তি। এসবের ফল অসহ্য যানজট। রাস্তার সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ নেই। সারা বছরই খোঁড়াখুঁড়ি চলে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। ছিনতাই-রাহাজানি নিত্যঘটনা।

বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা-ড্যাপ: আশার আলো জলবে কি?

গত ৬০-৭০ বছরে তিলোত্তমা নগরী রাজধানী ঢাকার জন্য যেসব পরিকল্পনা, মহাপরিকল্পনা, উদ্যোগ, আয়োজন করা হয়েছে, সেগুলোও একেবারে কম নয়। কিন্তু তাতে ঢাকা কি বাসযোগ্য নগরী হয়ে উঠেছে? রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রণীত ঢাকার ‘বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ)’। ড্যাপ ২০২২-৩৫ গেজেট হওয়ার পর পরই বিভিন্ন মহলে বেশ হইচই পড়ে যায়। বিশেষ করে আবাসন খাতের ব্যবসায়ী এবং ভোক্তারা ড্যাপের ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফএআর) নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ঢাকা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে এর পার্শ্ববর্তী শহর টঙ্গী, সাভার ও কেরানীগঞ্জ। অত্যাধুনিক বাসযোগ্য শহর হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তুলতে এটি সহায়ক হবে বলে জানিয়েছেন সার্ভেয়ার জেনারেল অব বাংলাদেশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাবিবুল হক।

সম্প্রতি এক সেমিনারে তিনি বলেন, আকাশ আলোকচিত্র ধারণের মাধ্যমে ঢাকা শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বৃহৎ স্কেলের টপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র প্রণয়ন করার জন্য জরিপ অধিদফতর থেকে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। কারণ টঙ্গী, সাভার ও কেরানীগঞ্জ বাইরে হলেও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে। এর মাধ্যমে ঢাকাকে অত্যাধুনিক বাসযোগ্য শহর হিসাবে গড়ে তোলার জন্য সহায়ক হবে। ঢাকা নগরীকে আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন ও বাসযোগ্য করতে এবং সকল ধরনের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার কাজ করছে। এ যাত্রায় বাংলাদেশ জরিপ অধিদফতরের ভ‚-স্থানিক তথ্য-উপাত্ত এক নতুন মাত্রা যোগ করবে। ড্যাপ-এর সফল বাস্তবায়নের জন্য নগরীর উন্নয়নের সাথে জড়িত সকল সংস্থা ও সর্বোপরি জনসাধারণের সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং উদ্যোগ একান্তভাবে প্রয়োজন।

দুই সিটি’র যত উদ্যোগ ও কাজের অগ্রগতি

দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছর পার করে তৃতীয় বছরে পৌঁছেছেন ঢাকার ২ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নূর তাপস। ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি’র দুই মেয়র এই সময়ের মধ্যে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কিছু সাফল্য দেখালেও চিরাচরিত সমস্যা থেকে মুক্তি পায়নি রাজধানীবাসী। নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই মেয়র অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হলেও তিন বছরে তার খুব অল্পই বাস্তবায়ন হয়েছে। রয়েছে নগর ব্যবস্থাপনায় সদিচ্ছা, সঠিক পরিকল্পনা, ও আন্তরিকতার ঘাটতি। দুই মেয়রই জলাবদ্ধতা, যানজট, মশার উপদ্রবসহ নানা নমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলেও অনেক ক্ষেত্রেই এসব প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেননি তারা। মশক নিধন রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের অন্যতম প্রধান কাজের ক্ষেত্র। গত বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ ছাড়িয়ে যায় অতীতের সব রেকর্ড। কিন্তু মশা নিধনে সাফল্য দেখাতে পারেনি দুই সিটি করপোরেশন।

যানজট নিরসনে ইতোমধ্যে বাস রুট রেশনাইলেজশনের মাধ্যমে রাজধানীকে কয়েকটি ক্লাস্টারে ভাগ করে কাজ শুরু করেছে দুই সিটি। গত বছরই ঢাকার যানজট নিরসনে শহরের প্রতিটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ার জন্য স্কুল বাসের ব্যবস্থা করার বিষয়ে পরিকল্পনা নিয়েছিলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ওয়াসার কাছ থেকে খালগুলোকে দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। হস্তান্তরের পরপরই দুই সিটি করপোরেশন খালগুলো উদ্ধারে মাঠে নামলেও জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকেও মেলেনি মুক্তি।
নগর ব্যবস্থাপনার অন্যতম দায়িত্ব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন তৈরির মাধ্যমে নগরীর সড়কে ময়লা জমে দুর্গন্ধ ও পরিবেশ দূষণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন মনে করছেন নগরপরিকল্পনাবিদগণ।

রাজধানীর প্রধান প্রধান সমস্যাগুলোর দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে পিছিয়ে থাকলেও কিছু কিছু প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন দুই মেয়র। এর মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের পোস্টারবিরোধী অবস্থানের অংশ হিসেবে ঢাকার মগবাজার ফ্লাইওভারের স্প্যানে দৃষ্টিনন্দন পেইন্টিং সবার নজর কেড়ে নেয়। ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন আয়োজিত মেয়র কাপে ওয়ার্ডভিত্তিক দল অংশ নেয় যা তরুণদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বেশ কয়েকটি মাঠ উদ্ধার করে উন্নয়ন করে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। যদিও এসব মাঠের অনেকগুলোই বিভিন্ন ক্লাবের দখলে থাকায় সাধারণ মানুষ ঢুকতে পারে না। মেয়র তাপসের উদ্যোগে আদি বুড়িগঙ্গা উদ্ধার কার্যক্রমও যথেষ্ট আশা জাগানিয়া।

রাজধানীর জলাশয়-জলাধার আশংকাজনকভাবে কমছে

একটি বাসযোগ্য শহরে কমপক্ষে ১০-১৫ শতাংশ জলাশয় থাকা দরকার হলেও ঢাকার জলাশয়-জলাধার আশংকাজনকভাবে কমছে। ঢাকার জলাধারগুলো নির্বিচার দখলের শিকার। ড্যাপ (ঢাকা বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা), নগর উন্নয়ন আইন, জলাধার সংরক্ষণ আইন ও পরিবেশ সংক্রান্ত আইনকে অমান্য করে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার ডিআইটি পুকুর দখল-সহ এই নগরীর আরও বিভিন্ন পুকুর ও অন্যান্য জলাধার দখল ও ভরাট হচ্ছে, যা খুবই উদ্বেগের। পরিবেশবিদ ও পরিবেশকর্মী, সংশ্লিষ্ট বিষয়ের গবেষক ও বিশেষজ্ঞ, সংসদ সদস্য এবং সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার (২২ জুন) এক সেমিনারে এসব কথা বলেন।

বক্তারা জানান, ঢাকা মহানগরীর অবশিষ্ট ৩২৭ পুকুর ও জলাশয়ের মধ্যে ৮৬টি (যা প্রায় ২৬শতাংশ) এখন সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও প্রভাবশালী ব্যক্তিকর্তৃক দখলের পথে। এই জলাধারগুলোর মধ্যে ৬টি দখল হচ্ছে সরকারি উদ্যোগে, ৭৯টি দখল হচ্ছে বেসরকারি উদ্যোগে এবং বাকি একটি দখল হচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে।

জলাশয় দখল ও কমে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি-বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পানির শহর ঢাকাকে আমরা কারবালায় পরিণত করেছি। এই নগরী সবচেয়ে অবসবাসযোগ্য নগরীতে পরিণত হয়েছে। এজন্য অন্য অনেকের সাথে রাজউককে দায়ী করে তিনি বলেন, ”রাজউক একটি সাংঘাতিক অস্বচ্ছ প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান নিজেই জলাশয় ভরাট করে হাউজিং করছে। আরডিআরসির গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকায় বর্তমানে মোট ৬৩ টি খাল, ১৩ টি লেক ও একটি আদি চ্যানেলের অস্থিত্ব রয়েছে।

দৈনিক উত্তরদক্ষিণ । ২৩ জুন ২০২৩ । প্রথম পৃষ্ঠা

নগর পরিকল্পনায় সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি

রাজধানী ঢাকাকে কেন্দ্র করে যেসব পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, হচ্ছে সেগুলো বাস্তবায়নে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সাফল্য নিশ্চিত করতে প্রকল্পের মেয়াদকালে নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ওপরও জোর দিয়েছেন তারা। ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সকল প্রকল্প গণমুখী হওয়া জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এজন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। রাজধানীর উন্নয়নে অনেক কাজ হচ্ছে কিন্তু সেই কাজ কতটুক পরিকল্পনা মাফিক হচ্ছে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানের বক্তারা। নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন বলেন, ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) কীসের ভিত্তিতে করা হয়েছে সেটাই আমাদের কাছে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।

বিভিন্ন সময় রাজধানীকে কেন্দ্র করে যেসব প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে সেগুলোতে কতটুক অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ নিয়ে করা হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। মহানগর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) আমলাতান্ত্রিক রাজউক দিয়ে বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছে ইনস্টিটিউট ফর প্লানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)। সংগঠনটি মনে করছে ঢাকা শহরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন উদ্যোগগুলোর কার্যকর সমন্বয়ের জন্য ড্যাপে প্রস্তাবিত ‘মহানগর সরকার’ প্রতিষ্ঠা ব্যতীত ড্যাপ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।

ইউডি/এজেএস

Md Enamul

Leave a Reply

Discover more from Daily Uttor Dokkhin

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading