আমেরিকায় ৩ দশকে বন্দুক হামলায় ১১ লাখ মৃত্যু

আমেরিকায় ৩ দশকে বন্দুক হামলায় ১১ লাখ মৃত্যু
১৯৯০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আমেরিকায় আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত ঘটনায় প্রায় ১১ লাখ ১০ হাজার ৪৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ৮৬ শতাংশ পুরুষ। 

উত্তরদক্ষিণ । শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ । আপডেট ১৩:৪৮

আমেরিকায় বন্দুক হামলায় গত ৩০ বছরে ১১ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে নতুন একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে।

আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি ওপেন-অ্যাক্সেস মেডিকেল জার্নাল-জেএএমএ নেটওয়ার্ক ওপেনে সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আমেরিকায় আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত ঘটনায় প্রায় ১১ লাখ ১০ হাজার ৪৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ৮৬ শতাংশ পুরুষ। খবর এএফপি ও সিএনএন।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, ২০০৪ সালে আমেরিকায় আগ্নেয়াস্ত্রে মৃত্যু হার কমে প্রতি এক লাখ মানুষে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১০ জন।

২০১০ সালে এই হার আবার বাড়তে শুরু করে। ৪৫.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২১ সালে প্রতি এক লাখে আগ্নেয়াস্ত্রে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪.৭ জন। ২০০৪ সালের হারের তুলনায় এসময় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে সংঘটিত হত্যা ৪০ শতাংশ এবং আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা আত্মহত্যার ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পরও দেশটিতে আগ্নেয়াস্ত্রজনিত মৃত্যু বৃদ্ধি পায়।

এর কারণ হিসেবে মহামারীর প্রথম দিনগুলোতে আমেরিকানদের বন্দুক কেনার হিড়িককে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বিশ্বাস করেন মহামারী-সম্পর্কিত চাকরি হারানো, অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সংস্থানের তীব্র অভাবও এ মৃত্যুতে ভূমিকা পালন করেছে।

২০২১ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২০ সালের জানুয়ারী থেকে ২০২১ সালের এপ্রিলের মধ্যে প্রায় ৫০ লাখ আমেরিকান প্রথমবারের মতো বন্দুকের মালিক হয়েছেন।

অনুসন্ধানে আরও দেখা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আত্মহত্যার প্রবনতা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এরমধ্যে শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের আত্মহত্যার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি ছিল, বিশেষ করে বয়স্কদের মধ্যে। ৮০ থেকে ৮৪ বছর বয়সী শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের আত্মহত্যার হার ২০২১ সালে প্রতি এক লাখ জনে প্রায় ৪৬ জন ছিল।

ইউডি/এআই

Md Enamul

Leave a Reply

Discover more from Daily Uttor Dokkhin

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading