তাপস পালের মৃত্যু, মমতার শোক বাণী

তাপস পালের মৃত্যু, মমতার শোক বাণী

উত্তরদক্ষিণ অনলাইন । ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০ । আপডেট ১৪ঃ৪৫

পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা তাপস পাল আর নেই। আজ (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।

পরিবার সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ুর রোগে ভুগছিলেন তাপস পাল। কথা বলা ও চলা-ফেরায় সমস্যা ছিল তার। গত ১ ফেব্রুয়ারি বান্দ্রার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। ৬ ফেব্রুয়ারি ভেন্টিলেশন থেকে তাকে বের করা হয়। গতকাল সোমবার রাতে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তাপস পাল। এদিন রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। তাপস পালের অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ পরিবার পরিজনরা। অভিনেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে টলিউডেও।

তার মৃত্যুতে এক শোক বাণী দেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি শোক বার্তায় বলেন, ‘বিশিষ্ট অভিনেতা ও প্রাক্তন সাংসদ তাপস পালের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ ভোরে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ‘‘দাদার কীর্তি’’, ‘‘সাহেব’’, ‘‘ভালোবাসা ভালোবাসা’’, ‘‘অনুরাগের ছোঁয়া’’, ‘‘অমর বন্ধন’’ ইত্যাদি। তিনি হিন্দি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১২ সালে তাকে বিশেষ চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করে। এ ছাড়া তিনি ফিল্ম ফেয়ার ও কলাকার পুরস্কার পান। তার প্রয়াণে অভিনয় ও রাজনৈতিক জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো।’

১৯৫৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হুগলির চন্দননগরে জন্ম তাপস পালের। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি তার আগ্রহ ছিল। কলেজে পড়াকালীন নজরে পড়েন পরিচালক তরুণ মজুমদারের। ২২ বছর বয়সে মুক্তি পায় তার প্রথম ছবি ‘দাদার কীর্তি’। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাপস পালকে। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের।

‘গুরুদক্ষিণা’, ‘বলিদান’ ‘কড়ি দিয়ে কেনা’র মতো একের পর এক সুপারহিট ছবি ছিল তার ঝুলিতে। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘সাহেব’, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’, ‘পারাবত প্রিয়া’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’। ‘সাহেব’ ছবির জন্য পান ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার পান তাপস পাল। বাংলার পাশাপাশি তিনি অভিনয় করেছেন হিন্দি ছবিতেও। মাধুরী দীক্ষিতের বিপরীতে অভিনয় করেন ‘অবোধ’ ছবিতে।

২০০১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখেন এই অভিনেতা। ওই বছর এবং ২০০৬ সালে পরপর দুবার বিধানসভা নির্বাচনে জেতেন। তুমুল জনপ্রিয়তার জন্য তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন হন। ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে পরপর দুবার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি।

তবে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে রোজভ্যালি চিটফান্ড কাণ্ডে তাপসকে গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘদিন জেলে থাকার পর ২০১৮-র ফেব্রুয়ারিতে রোজভ্যালি মামলায় জামিন পান এই অভিনেতা।

Md Enamul

Leave a Reply

Discover more from Daily Uttor Dokkhin

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading